অন পেজ এসইও কাকে বলে | SEO |

অন পেজ এসইও কাকে বলে এই পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাই ইতিপূর্বে এসইও নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে এখানে আমরা এসইও সম্পর্কে প্রধান কিছু বিষয় জেনেছি এবং আজকে আমরা দেখবো কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয়।

অন পেজ এসইও কাকে বলে।

আমরা প্রথমে জেনে নেব সংক্ষিপ্ত অন পেজ এসইও কাকে বলে , এর উত্তর হল ওয়েবসাইটের ভেতরে যে সমস্ত কাজ আমরা করব প্রতিটি কাজ কে এসইও এর ধাপ থেকে বলা হবে অন পেজ এসইও।

অন পেজ এসইও।
অন পেজ এসইও।

অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট তৈরি থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় যে সকল কাজ করা হয়ে থাকে ওয়েবসাইট কনট্রোল এর মাধ্যমে সে সমস্ত কাজকে অন পেজ এসইও বলা হয়। যেমন ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন যে কোন বিষয় অবশ্যই আপনার আর্টিকেল লেখার জন্য বেশ কিছু জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা প্রয়োজন হবে।

যেমন একটি টাইটেল এবং বেশ কয়েকটি হেডিং মেটা ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগ। এই সমস্ত বিষয়কে বলা হয় অন পেজ এসইও। যা আমরা ওয়েবসাইটের ভিতরে করে থাকি। এবং একটি ওয়েবসাইট সম্পূর্ণভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য অন পেজ এসইও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আমরা আজকে দেখি নিব অন পেজ এসইও কিভাবে আপনি সম্পূর্ণ করবেন সাধারণ থেকে সর্বোচ্চ লেবেল পর্যন্ত অর্থাৎ (Basic to Advance) আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। এবং আপনার কোন বিষয় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হলে অবশ্যই কমেন্টে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন।

অন পেজ এসইও কিভাবে করবো।

সর্বপ্রথম আপনাকে অন পেজ এসইও সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে সুন্দরভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সেখানে কোয়ালিটি ফুল একটি ডিজাইন যুক্ত করতে হবে যদি আপনি সঠিকভাবে একটি ডিজাইন ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে না পারেন এক্ষেত্রে মানুষের কাছে আপনার আর্টিকেলগুলি এবং ল্যান্ডিং পেজ ভালো লাগবে না।

এছাড়াও আপনার হয়তো অজানা হয়েছে সেটি হল ওয়েবসাইটের ডিজাইন কোয়ালিটিতে বলা হয়ে থাকে টেকনিক্যাল এসইও আমরা চেষ্টা করব পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করার।

তো ON PAGE SEO করার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করার পরবর্তী সময় থেকে যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে ভালোভাবে করতে হবে এতে যেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মোতাবিক হয়। ধরুন আপনার ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক যুক্ত করতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের সম্পর্কিত কোনো একটি আর্টিকেলে বা সম্পর্কিত কোন একটি স্থানে লিংক যুক্ত করবেন।

আপনার সাথে সাথে কোন সম্পৃক্ত নেই এরকম কোন লিংক বা আর্টিকেল ওয়েবসাইট প্রকাশ করা যাবে না এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের অন্যান্য আর্টিকেল গুলি RANK হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা আপনি যে আর্টিকেলটি পাবলিশ করবেন সেটি কোনভাবেই google এ রেংকিং করবে না।

অন পেজ এসইও ( টাইটেল কিভাবে দিব)

একটি আর্টিকেল লেখার জন্য আমাদের যে সমস্ত বিষয় গুরুত্ব দিবে তার মধ্যে অন্যতম হলো টাইটেল আপনি যেকোনো বিষয়ে আর্টিকেল লেখেন না কেন যদি সঠিকভাবে টাইটেল বাছাই করতে না পারেন তাহলে সে আর্টিকেলটি কোন সার্চ ইঞ্জিনে সঠিক ভাবে জায়গা করে নিতে পারবে না।

কিভাবে একটি সঠিক টাইটেল খুঁজে বের করবে এর জন্য আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। কিভাবে কিওয়ার্ড বিশ্বাস করতে হয় পরবর্তী আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন। সহজ একটি উপায় রয়েছে জা অবলম্বন করে আপনি সঠিক একটি টাইটেল খুজে বের করতে পারবেন।

যখন কোনো একটি টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন তখন সেটি ভালো করে রিসার্চ করে নিবেন। মানুষ কোন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে এরকম একটি টাইটেল আমাদেরকে বেছে নিতে হবে। যদি আপনি আপনার টপিক অনুযায়ী সঠিক একটি টাইটেল বাছাই করতে না পারেন এক্ষেত্রে কিন্তু সেই আর্টিকেলটি কোনভাবেই Grow হবে না।

এবং আমাদেরকে এমনভাবে একটি টাইটেল বাছাই করতে হবে যেন শুধুমাত্র টাইটেলটি পড়ে আমি বুঝতে পারি আর্টিকেলের মধ্যে কি কি বিষয় আমি জানতে পারবো এবং টাইটেল এমন চমৎকার প্রদর্শন ভাবে ব্যবহার করবেন যেন টাইটেল মানুষ দেখার পরবর্তী সময়ের সাথে সাথে পোষ্টের মধ্যে ক্লিক করে।

তবে হ্যাঁ কোনভাবেই যেন ব্ল্যাক হ্যাট এসইও না হয়ে যায় যদি ওই বিষয়টি অনেকেই জানেন না তবে টাইটেল দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন একই ওয়ার্ড যদি আপনি বারবার ইউজ করেন বা ব্যবহার করেন এক্ষেত্রে কিন্তু সেটি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর মধ্যে পড়ে যাবে এবং এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং দূরের কথা ডাউন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

সুন্দরভাবে আপনার প্রশ্নের জন্য একটি টাইটেল বাছাই করবেন এবং সেটি গুগল থেকে ভালোভাবে জেনে নিবেন যে মানুষ কোন বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চাচ্ছে সে বিষয়টি টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আপনার আর্টিকেলের।

অন পেজ এসইও (হেডিং ব্যাবহার)

এখন আমরা দেখে নেব হেডিং ব্যবহার কিভাবে করব তো একটি আর্টিকেল সঠিকভাবে এসিও করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই হেডিং ব্যবহার করতে হবে মূলত হেডিং কোনগুলোকে বলা হয় যারা জানেন না তারা দেখে নিতে পারেন উপরে যে আমরা একটি লাইন ব্যবহার করেছি [অন পেজ এসইও (হেডিং ব্যাবহার) ] মূলত এটি একটি হেডিং।

এবং এটি আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ফোকাস কেওয়ার্ড এর মাধ্যমে অর্থাৎ আপনি এ বিষয়টি নিয়ে একটি পরিপূর্ণ আর্টিকেল তৈরি করতে চাচ্ছেন এবং সম্পূর্ণ অন পেজ এসইও করতে চাচ্ছেন সেখানে তবে আপনাকে অবশ্যই পরিপূর্ণ একটি হেডিং ব্যবহার করতে হবে যা মানুষ খুজছে।

আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনাকে এই রকম কিছু হেডিং ব্যবহার করতে হবে যে হেডিংগুলো আর্টিকেল সম্পর্কিত অনেকটাই ইঙ্গিত পূর্ণ। ধরুন আপনি একটি বিষয় নিয়ে রিভিউ দিতে চাচ্ছেন সেখানে অনেকগুলো হেডিং ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন একটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারি আপনি শুধুমাত্র ব্যবহার করবেন মোবাইল ফোনের ব্যাটারি কিন্তু এর নিচে প্যারাগ্রাফ বিস্তারিত ভাবে লিখে দিবেন ব্যাটারীটি সম্পর্কে।

প্রতিটি আর্টিকেলে এমন ভাবে আপনি হেডিং ব্যবহার করবেন যেন আর্টিকেলটি সুন্দর এবং সম্পূর্ণ কোয়ালিটি তৈরি করা যায় এছাড়াও এটি যেন গুগলের কাছে মানসম্মত হিসেবে পরিচিত অর্জন করতে পারে। যদি আপনি সঠিকভাবে হেডিং ব্যবহার করতে না পারেন এক্ষেত্রে আর্টিকেলটি র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে।

অন পেজ এসইও ( প্রয়োজনীয় কোড ব্যাবহার)

এছাড়াও আপনার আর্টিকেলটি আরো সৌন্দর্য করার জন্য বিশেষ কিছু কোড আপনি ব্যবহার করতে পারেন সাধারণত এই কোডগুলো কে এইচটিএমএল (HTML) কোড বলা হয়ে থাকে। এই কোডগুলোর মাধ্যমে আপনি একটি আর্টিকেলটি অনেকটাই সৌন্দর্য এবং কোয়ালিটি করতে পারবেন।

বিশেষ কিছু কোড রয়েছে যেকোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের আর্টিকেলটিকে আরো উন্নত মানের করতে পারব তার মধ্যে কিছু কোড আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি এবং উল্লেখ্য করে দিচ্ছি সেই কোডগুলি নাম আপনি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন যদি কোন প্রোডাক্ট বা কোন জিনিস সম্পর্কে নিজেও করতে চান এক্ষেত্রে এই কোড গুলি ব্যবহারটা আপনার আর্টিকেলটিকে আরো সুন্দর্য এবং কোয়ালিটি করতে পারবেন।

  • স্ট্রং (strong)
  • অর্ডার লিষ্ট (Order list)
  • টেবিল ( Table )
  • লিংক (link)

সহ এসটিএমএল এর আরো বিশেষ কিছু কোড রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমাদের আর্টিকেল সুন্দর করতে পারব এবং সেটি কোয়ালিটি ফুল হবে।

অন পেজ এসইও ( ছবি ব্যাবহার )

এরপর আপনার আর্টিকেলের জন্য কিছু ছবি বাছাই করে দেবেন যদি সেখানে প্রয়োজন হয় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা গুগল থেকে কিছু ছবি সংরক্ষণ করে সেগুলো আপলোড করে দেয় এক্ষেত্রে কিন্তু সেটি কপিরাইট আওতদিন পরে যাবে। অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন নিচে ছবি তৈরি করার জন্য বা এমন কোন ছবি ব্যবহার করবেন যার লাইসেন্স রয়েছে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।

এবং আপনার আর্টিকেলে যদি কোন ছবি প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে সেটি সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন করবেন যেমনটা আমরা একটি আর্টিকেল অপটিমাইজেশন করব বিভিন্ন বিষয়গুলি সেরকম ভাবে আপনার ছবির মধ্যেও অপটিমাইজেশন করবেন তার মধ্যে অন্যতম বিষয় গুলি হল ছবির সাইজ, ছবি রেজুলেশন, এবং ছবির মেগাবাইট।

এইগুলো সব সময় মত রাখার চেষ্টা করবেন এবং ছবির মেগাবাইট সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন কম রাখার কেননা যখন একটি ছবি মেগাবাইট অনেক বেশি হয়ে যাবে তখন কিন্তু সেই পেজটি ল্যান্ডিং বা সম্পূর্ণ লোডিং হতে অনেক বেশি সময় লাগবে এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট অনেকেই বেশি হয়ে যাবে।

তো কোয়ালিটি ফুল ছবি ব্যবহার করবেন এবং ছবির নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল সম্পূর্ণ সম্পর্কিত একটি নাম ব্যবহার করবেন এক্ষেত্রে আপনার অন পেজ এসইও এর ঘাত আরো এগিয়ে যাবে।

অন পেজ এসইও ( ট্যাগ ব্যবহার )

যদিও বর্তমান সময়ে অনেকেই তাদের আর্টিকেল গুলির মধ্যে ট্যাগ ব্যবহার করে না কেননা এটি ডুবলিকেট কনটেন্ট মধ্যে পড়ে যায় তবে এটি আর্টিকেল অন পেজ এসইও এর মধ্যে পড়ে।

যদি আপনার ট্যাগ গুলি ইনডেক্স করা থাকে এক্ষেত্রে আর্টিকেল এর মধ্যে বেশ কিছু ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলের মেইন কিওয়ার্ড গুলি ব্যবহার করবেন চেষ্টা করার।

এবং খুব বেশি ব্যবহার করা দরকার নেই সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচটি ট্যাগ ব্যাবহার করবেন কারণ অতিরিক্ত ট্যাগ ব্যাবহার এর কারণে পোস্ট খারাপ এবং গুগল রাঙ্কিং হতে সমস্যা হবে।

আমাদের আজকের আর্টিকেল টি এই পর্যন্ত, এবং অন পেজ এসইও নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আরো আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে সেখান থেকে আমরা বাকি বিষয় গুলো জানার চেষ্টা করবো।

Visited 5 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment