হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু
দৈর্ঘ্য বিবেচনায়, পদ্মা সেতু বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘ সেতু।
এটি ৬.১৫ কিলোমিটার (২০.১৮ ফুট) দীর্ঘ।
তবে, এটি দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সড়ক সেতু এবং বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু।
কিছু তথ্য:
- দীর্ঘতম সেতু:
- ১. ডানইয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ, চীন (১৬৪ কিলোমিটার)
- ২. চাংহুয়া-কোয়াশিউং রেলসেতু, তাইওয়ান (১৫৭ কিলোমিটার)
- ৩. তিংজিন-হুংচিও ব্রিজ, চীন (৫৪.৫৮ কিলোমিটার)
- দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সড়ক সেতু:
- ১. পদ্মা সেতু, বাংলাদেশ (৬.১৫ কিলোমিটার)
- ২. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, বাংলাদেশ (৪.৮ কিলোমিটার)
- ৩. মহাত্মা গান্ধী সেতু, ভারত (৫.৪ কিলোমিটার)
- বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু:
- ১. পদ্মা সেতু (৬.১৫ কিলোমিটার)
- ২. বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু (৪.৮ কিলোমিটার)
- ৩. কর্ণফুলী সেতু (২.৩৬ কিলোমিটার)
বাংলাদেশের দুইটি সেতুর নাম কি?
বাংলাদেশের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সেতু রয়েছে, তবে আপনার প্রশ্ন সম্ভবত দীর্ঘতম বা সবচেয়ে বিখ্যাত সেতু সম্পর্কে।
দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বাংলাদেশের দুটি দীর্ঘতম সেতু হল:
- পদ্মা সেতু: এটি 6.15 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের উত্তর-মধ্য অংশকে সংযোগ করে।
- বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু: এটি 4.8 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে যমুনা নদীর উপর অবস্থিত।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সেতুগুলির মধ্যে রয়েছে:
- কর্ণফুলী সেতু: এটি চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর উপর অবস্থিত এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
- মেঘনা সেতু: এটি মুন্সিগঞ্জে মেঘনা নদীর উপর অবস্থিত এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।
- হাজারীমুখ সেতু: এটি চট্টগ্রামে পায়রা নদীর উপর অবস্থিত এবং মৎস্যবন্দর শহর হাজারীখিলের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
এই সেতুগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু কোনটি?
বর্তমানে, বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু হল পদ্মা সেতু। এটি 6.15 কিলোমিটার (3.82 মাইল) দীর্ঘ এবং যমুনা নদীর উপর অবস্থিত। 2022 সালের 25 জুন এটি উদ্বোধন করা হয়।
এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের উত্তর-মধ্য অংশকে সংযোগ করে, যা দেশের অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এখানে বাংলাদেশের দীর্ঘতম তিনটি সেতুর একটি তালিকা দেওয়া হল:
- পদ্মা সেতু (6.15 কিলোমিটার)
- বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু (4.8 কিলোমিটার)
- কর্ণফুলী সেতু (2.36 কিলোমিটার)
পদ্মা সেতুর দুই পাশের জেলার নাম কি?
পদ্মা সেতুর দুই পাশের জেলা হল:
- উত্তর পাশে: মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা।
- দক্ষিণ পাশে: শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা।
উল্লেখ্য যে, পদ্মা সেতু মাদারীপুর জেলার উপর দিয়েও গেছে।
তবে, সেতুর প্রান্তদ্বয় মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলায় অবস্থিত।
এই সেতু নির্মাণের ফলে এই দুই জেলার সাথে দেশের অন্যান্য অংশের সংযোগ উন্নত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২২
পরিচয়:
- পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু (6.15 কিলোমিটার)।
- “স্বপ্নের সেতু” নামেও পরিচিত।
নির্মাণ:
- নির্মাণকাজ শুরু: 26 নভেম্বর 2014।
- উদ্বোধন: 25 জুন 2022।
- নির্মাণ ব্যয়: 30 হাজার 193 কোটি 39 লাখ টাকা।
- ঠিকাদার: চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।
বৈশিষ্ট্য:
- 4 লেনের দ্রুতগতির সড়ক।
- একটি একক রেল লাইন।
- 41 টি পিলার এবং 40 টি স্প্যান।
- 18.10 মিটার প্রস্থের সেতুপথ।
- 6.15 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রধান সেতু।
- 14 কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।
গুরুত্ব:
- দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-মধ্য অংশকে সংযোগ স্থাপন করে।
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
- পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন।
- দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
- রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা।
- আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধি।
পরিবেশগত প্রভাব:
- নদীর নাব্যতা ব্যাহত হতে পারে।
- জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- নদীর তীরে ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ
পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৫ জুন।
এই দিন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
উদ্বোধনের পর থেকে, পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-মধ্য অংশকে সংযোগ স্থাপন করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পদ্মা সেতু খরচ কত
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এই খরচের মধ্যে রয়েছে:
- সেতুর অবকাঠামো তৈরি:
- পিলার নির্মাণ
- স্প্যান নির্মাণ
- রাস্তা নির্মাণ
- রেল লাইন নির্মাণ
- নদী শাসন:
- নদীর তীরে ভূমিধস রোধ
- নদীর গভীরতা বজায় রাখা
- সংযোগ সড়ক:
- মাওয়া ও কাঁঠালবাড়িতে সংযোগ সড়ক নির্মাণ
- ভূমি অধিগ্রহণ:
- সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ
- পুনর্বাসন:
- সেতু নির্মাণের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসন
- পরিবেশ:
- নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশের ক্ষতি পূরণ
- বেতন-ভাতা:
- শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা
- অন্যান্য:
- যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিদ্যুৎ বিল, প্রশাসনিক খরচ ইত্যাদি
উল্লেখ্য যে, প্রাথমিকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে নকশা পরিবর্তন, নদী শাসনের কাজ বৃদ্ধি, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়ে যায়।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প।
যদিও নির্মাণ ব্যয় বেশি হয়েছে, তবুও এই সেতু দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর মোট আয় কত?
পদ্মা সেতু থেকে মোট আয় নির্ভর করে কোন সময়কালের কথা বলা হচ্ছে তার উপর।
২০২4 সালের 5 মে তারিখ পর্যন্ত নিম্নলিখিত তথ্যগুলো পাওয়া যায়:
- এক বছরে:
- পদ্মা সেতু থেকে মোট আয় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ টাকা।
- এই তথ্য ২০২২ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২3 সালের ২৪ জুন পর্যন্ত সময়কালের জন্য।
- দৈনিক:
- গড় আয় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য যে, এই আয় শুধুমাত্র টোল থেকে আসে।
সেতু ব্যবহারের ফলে অর্থনীতিতে যে পরোক্ষ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার হিসাব করা হয়নি।
আশা করা হচ্ছে যে, পদ্মা সেতু দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
আপনার কি পদ্মা সেতুর আয় সম্পর্কে আরও কোন তথ্য জানতে চান?
- নির্দিষ্ট সময়কাল: আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য পদ্মা সেতুর আয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাকে সেই সময়কালটি জানান।
- আয়ের উৎস: আপনি যদি পদ্মা সেতু থেকে আয়ের বিভিন্ন উৎস সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাকে জানান।
পদ্মা সেতু অতিক্রম করতে কত সময় লাগে?
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করতে গাড়িতে 3 ঘণ্টা 6 মিনিট সময় লাগে।
আপনার বর্তমান অবস্থান 6WXG+C22, Dhaka road, Asekpur, বাংলাদেশ ধরে নিয়ে, মোট দূরত্ব ১৪৫ কিমি।
আপনি Google Maps এ এই রুটটি দেখতে পারেন।
মনে রাখবেন:
- যানজটের কারণে ভ্রমণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
- রাস্তার কাজের কারণে কিছু রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে।
- সেতুতে টোল দিতে হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট কোনটি?
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ বিভিন্ন দিক থেকে বিবেচনা করা যায়।
আকার, ব্যয় এবং প্রভাবের দিক থেকে, নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলো উল্লেখযোগ্য:
- পদ্মা সেতু:
- এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু (6.1 কিলোমিটার) এবং নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত প্রথম বহুমুখী সেতু।
- নির্মাণ ব্যয় ছিল 30 হাজার কোটি টাকারও বেশি।
- এই সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-মধ্য অংশকে সংযোগ স্থাপন করেছে এবং দেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলছে।
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র:
- এটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (2,200 মেগাওয়াট)।
- নির্মাণ ব্যয় ছিল 20 হাজার কোটি টাকারও বেশি।
- এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
- মেট্রোরেল:
- এটি বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল ব্যবস্থা (6.5 কিলোমিটার)।
- নির্মাণ ব্যয় ছিল 22 হাজার কোটি টাকারও বেশি।
- এই মেট্রোরেল ঢাকা শহরের যানবাহন চলাচল ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে।
- জাতীয় জালিকা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা:
- এটি সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি বিশাল নেটওয়ার্ক।
- নির্মাণ ব্যয় ছিল কয়েক হাজার কোটি টাকা।
- এই ব্যবস্থা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করছে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:
- জাতীয় মহাসড়ক:
- দেশের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করে একটি বিশাল সড়ক নেটওয়ার্ক।
- কর্ণফুলী টানেল:
- বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডকে চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার সাথে সংযোগকারী একটি সাবমেরিন টানেল।
- শায়েস্তাগঞ্জ ব্রিজ:
- যমুনা নদীর উপর দীর্ঘতম সেতু।
- গঙ্গা-পদ্মা সেতু:
- পদ্মা নদীর উপর দীর্ঘতম রেল সেতু।
পরিশেষে
আরো পড়ুনঃ বিকাশ ব্যালেন্স স্ক্রিনশট