সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায়

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায়

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার জন্য বাংলাদেশে দুটি প্রধান উপায় রয়েছে:

১) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান:

  • যোগ্যতা:

    • মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) বা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কমপক্ষে GPA 5.00 এবং পদার্থবিদ্যা ও গণিতে কমপক্ষে GPA 4.00
    • সর্বোচ্চ বয়স 22 বছর
    • শারীরিকভাবে ফিট
    • অবিবাহিত
  • প্রক্রিয়া:

    • বিমান বাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও পূরণ
    • লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়া
    • মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া
    • প্রশিক্ষণ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ
    • সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর পাইলট হিসেবে কমিশন লাভ

২) বাংলাদেশ বিমান ও মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিমান)

  • যোগ্যতা:

    • BSc (Engineering) in Aeronautical Engineering
    • সর্বোচ্চ বয়স 25 বছর
    • শারীরিকভাবে ফিট
    • অবিবাহিত
  • প্রক্রিয়া:

    • বিমানের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও পূরণ
    • লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হওয়া
    • মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া
    • প্রশিক্ষণ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ
    • সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর পাইলট হিসেবে নিয়োগ

এছাড়াও, বেসরকারিভাবে পাইলট হওয়ার জন্য বাংলাদেশে বেশ কিছু উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ সংস্থা রয়েছে।

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার খরচ

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার জন্য কোনো খরচ লাগে না। বরং, প্রশিক্ষণার্থীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে:

  • প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক বেতন প্রদান করা হয়।
  • খাবার, বাসস্থান, পোশাক এবং চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান ও মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিমান):

  • প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক বেতন প্রদান করা হয়।
  • খাবার, বাসস্থান এবং চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করা হয়।

তবে, কিছু খরচ হতে পারে যেমন:

  • আবেদনপত্রের খরচ
  • মেডিকেল পরীক্ষার খরচ
  • প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম কেনার খরচ

উল্লেখ্য:

  • বিমান বাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করার সময় কোনো খরচ লাগে না।
  • বিমানে যোগদানের জন্য আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের খরচ ৳ 100/- (একশ টাকা)।

সামরিক পাইলট হওয়ার যোগ্যতা

শারীরিক যোগ্যতা:

  • উচ্চতা: ১৫৭.৫ সেমি (পুরুষ) এবং ১৫২.৫ সেমি (মহিলা) এর কম হতে পারবে না।
  • ওজন: উচ্চতা ও বয়সের অনুপাতে স্বাভাবিক ওজন হতে হবে।
  • দৃষ্টি: চোখের ভিশন ৬/৬ (সাধারণ) এবং ৬/৯ (সশর্ত) হতে হবে।
  • রক্তচাপ: স্বাভাবিক রক্তচাপ হতে হবে।
  • শ্রবণশক্তি: স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি হতে হবে।
  • শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল হতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

  • মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কমপক্ষে জিপিএ 3.50 (ন্যূনতম 3.00) সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (HSC) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কমপক্ষে জিপিএ 3.00 (ন্যূনতম 2.50) সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ 3.00 (ন্যূনতম 2.50) থাকতে হবে।
  • ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা:

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • অবিবাহিত হতে হবে।
  • পূর্ণাঙ্গ মানসিক সুস্থতা থাকতে হবে।
  • কোন অপরাধে জড়িত থাকতে পারবে না।
  • ন্যূনতম 17 বছর এবং সর্বোচ্চ 22 বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া:

  • লিখিত পরীক্ষা
  • মেডিকেল পরীক্ষা
  • ইন্টারভিউ
  • শারীরিক পরীক্ষা

প্রশিক্ষণ:

  • নির্বাচিত প্রার্থীদের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
  • প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রার্থীরা সামরিক পাইলট হিসেবে কমিশন পাবেন।

পাইলট হওয়ার সুবিধা

পেশাগত সুবিধা:

  • উচ্চ বেতন: পাইলটরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া পেশাজীবীদের মধ্যে একজন।
  • চাকরির স্থায়িত্ব: এটি একটি চাহিদাপূর্ণ পেশা এবং ভবিষ্যতেও এর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ: পাইলটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ পান।
  • দ্রুত পদোন্নতির সুযোগ: দক্ষ পাইলটরা দ্রুত পদোন্নতি পেতে পারেন।
  • সম্মানজনক পেশা: পাইলটদের সমাজে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয়।

ব্যক্তিগত সুবিধা:

  • উত্তেজনাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং কাজ: পাইলটদের কাজ উত্তেজনাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং।
  • স্বাধীনতা ও দায়িত্ব: পাইলটরা তাদের কাজের সময় অনেক স্বাধীনতা উপভোগ করেন এবং তাদের কাজের জন্য অনেক দায়িত্বও বহন করেন।
  • বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয়: পাইলটরা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় করতে পারেন।
  • নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ: পাইলটদের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থাকে।
  • নিজের দেশ ও পরিবারের জন্য অবদান রাখার সুযোগ: পাইলটরা তাদের দেশ ও পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

অন্যান্য সুবিধা:

  • ভালো চিকিৎসা সুবিধা: পাইলটরা ভালো চিকিৎসা সুবিধা পান।
  • অবসরকালীন সুবিধা: পাইলটরা ভালো অবসরকালীন সুবিধা পান।
  • শিক্ষাগত সুবিধা: পাইলটদের শিক্ষাগত সুবিধা দেওয়া হয়।

পাইলট হওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা:

  • মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ভালো ফলাফল।
  • উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে বি গ্রেড।
  • ইংরেজি ভাষায় সাবলীল।
  • ভালো শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
  • দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
  • নেতৃত্বের গুণাবলী।

পাইলট হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ:

  • বাংলাদেশে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাইলট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • প্রশিক্ষণের সময়কাল সাধারণত ১৮ মাস থেকে ২ বছর।
  • প্রশিক্ষণ শেষে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (CAAB) থেকে লাইসেন্স নিতে হয়।

বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

  • এসএসসি/ও-লেভেল এবং এইচএসসি/এ-লেভেলে বিজ্ঞান বিভাগে কমপক্ষে ৪০% নম্বর সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • এইচএসসি/এ-লেভেলে পদার্থবিদ্যা ও গণিতে কমপক্ষে বি গ্রেড অর্জন করতে হবে।
  • ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা:

  • উচ্চতা: কমপক্ষে ১৫৭.৫ সেমি (পুরুষদের জন্য) এবং ১৫২.৫ সেমি (মহিলাদের জন্য)।
  • ওজন: উচ্চতা ও বয়সের অনুপাতে স্বাভাবিক ওজন হতে হবে।
  • চোখের দৃষ্টি: ৬/৬ (সাধারণ) অথবা ৬/৯ (চশমা বা কন্টাক্ট লেন্সের সাহায্যে)।
  • রক্তচাপ: স্বাভাবিক (১২০/৮০ mmHg)।
  • শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল হতে হবে।

মানসিক যোগ্যতা:

  • দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
  • নেতৃত্বের গুণাবলী।
  • চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা।
  • ভালো যোগাযোগ দক্ষতা।

প্রশিক্ষণ:

  • বাংলাদেশে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাইলট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • প্রশিক্ষণের সময়কাল সাধারণত ১৮ মাস থেকে ২ বছর।
  • প্রশিক্ষণের খরচ প্রতিষ্ঠান ভেদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা।

প্রশিক্ষণ শেষে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (CAAB) থেকে লাইসেন্স নিতে হয়।

কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়:

  • বাংলাদেশ বিমান পরিবহন একাডেমি (BATA)
  • বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি (BFA)
  • শাহী বিমান বাহিনী (BAF)

কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়:

  • এয়ার অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যাকাডেমি (AAA)
  • গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি (GFA)
  • আরিরাং অ্যাভিয়েশন লিমিটেড (AAL)

পাইলট হতে হলে কোথায় পড়তে হবে

বাংলাদেশে পাইলট হতে হলে আপনাকে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (CAAB) কর্তৃক অনুমোদিত একটি ফ্লাইট স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

বাংলাদেশে পাইলট প্রশিক্ষণের জন্য বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান:

  • বাংলাদেশ বিমান পরিবহন একাডেমি (BATA)

  • বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি (BFA)

    Image of Bangladesh Flying Academy (BFA)
  • শাহী বিমান বাহিনী (BAF)

    Image of Bangladesh Air Force (BAF)

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান:

  • এয়ার অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যাকাডেমি (AAA)
    Image of Air Aviation and Academy (AAA)গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি (GFA)
  • Image of Galaxy Flying Academy (GFA)
  • আরিরাং অ্যাভিয়েশন লিমিটেড (AAL)

পাইলট এর বেতন কত

  • কোম্পানি: বড় এয়ারলাইন্সগুলো ছোট এয়ারলাইন্সের তুলনায় বেশি বেতন দেয়।
  • অভিজ্ঞতা: অভিজ্ঞ পাইলটরা নতুন পাইলটদের তুলনায় বেশি বেতন পান।
  • বিমানের ধরন: বড় বিমান চালানোর জন্য বেশি বেতন দেওয়া হয়।
  • কাজের ঘন্টা: যারা বেশি ঘন্টা কাজ করে, তারা বেশি বেতন পায়।

বাংলাদেশে পাইলটের বেতন মোটামুটি নিম্নরূপ:

  • ক্যাপ্টেন:
    • বড় এয়ারলাইন্স: ৪-৫ লাখ টাকা
    • ছোট এয়ারলাইন্স: ২-৩ লাখ টাকা
  • ফার্স্ট অফিসার:
    • বড় এয়ারলাইন্স: ২-৩ লাখ টাকা
    • ছোট এয়ারলাইন্স: ১-২ লাখ টাকা
  • কো-পাইলট:
    • বড় এয়ারলাইন্স: ১-২ লাখ টাকা
    • ছোট এয়ারলাইন্স: ৫০ হাজার – ১ লাখ টাকা

বিদেশে পাইলটের বেতন অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলোতে একজন ক্যাপ্টেন প্রতি বছর ১০-১৫ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

পাইলট হওয়ার জন্য প্রচুর খরচ করতে হয়। প্রশিক্ষণের খরচ ৩০-৫০ লাখ টাকা। তাই পাইলট হওয়ার আগে ভালো করে ভেবে নেওয়া উচিত।

পরিশেষে

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি

Visited 20 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment