নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আমরা আজকে আলোচনা করব। যদি আপনি কারো জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান এক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবহার করে ঘরে বসে আপনি জন্ম সনদ আবেদন Jonmo Nibondhon Abedon Online করতে পারবেন খুব সহজেই।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩। কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হয় সেই বিষয়গুলি আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি কোন (Birth Certificate) জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩।
আমরা পূর্বে জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করেছি যেখানে আমরা জেনেছিলাম ছোটদের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে এবং বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে সেই বিষয় সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব কিভাবে নতুন জন্ম সনদ তৈরি করতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি এখন ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র কয়েকটি ডকুমেন্ট সাবমিট এর মাধ্যমে একটি জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পূর্ণ করা যাবে। শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন।
Online birth registration Bangladesh জন্ম নিবন্ধন সনদ ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট সকলের জন্য। যদি আপনার আগে থেকে কোনো জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকে তাহলে আপনি এখনই ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করতে পারেন একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
তাহলে চলুন আমরা ছবি থেকে জানার চেষ্টা করব কিভাবে নতুন জন্ম সনদ তৈরি করতে হয়। কিভাবে আপনি ঘরে বসে জন্ম সনদ তৈরি করবেন সেই বিষয়গুলি চেষ্টা করব শেয়ার করার জন্য।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম।
সর্বপ্রথম আমাদের একটি মোবাইল ফোন বা একটি কম্পিউটার প্রয়োজন হবে যার মাধ্যমে আমরা অনলাইনে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবো। এবং অবশ্যই আপনার ডাটা বা ওয়াইফাই কানেকশন প্রয়োজন হবে।
গুগলে বা ক্রোম ব্রাউজারে সার্চ করবেন Birth Certificate online Application লিখে তাহলে পেয়ে যাবেন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ওয়েবসাইট। এখানে প্রবেশ করার পর বেশ কিছু অপশন আমরা লক্ষ্য করতে পারব তার মধ্যে থেকে আমরা বাছাই করব, জন্ম নিবন্ধন আবেদন অপশনটি।
এরপর আমাদেরকে সঠিকভাবে ফর্ম গুলি পূরণ করতে হবে এবং কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হলে পরবর্তী সময় কিন্তু আপনি এই ভুল ত্রুটি দেখতে পারবেন তবে সেটি সমাধান করতে আবার পুনরায় জন্ম সনদ রি-ইস্যু করাতে হবে। সেই জন্য প্রথমেই সঠিকভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে জন্ম সনদ আবেদন করবেন।
আপনি এখানে তিনটি অপশন দেখতে পারবেন যে কোন অপশন থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এখান থেকে সঠিকভাবে দেখে নিবেন যদি আপনি বর্তমানে তিনটি স্থানে অবস্থান করেন অর্থাৎ সবকিছু একই হয় তাহলে শুধুমাত্র জন্মস্থান সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে চলে যেতে পারেন।
এখান থেকে আমাদেরকে খুব ভালোভাবে যাচাই করে তথ্যগুলি প্রদান করতে হবে। সর্বপ্রথম এখানে আপনার নামটি যাচাই করবেন যেহেতু এখানে ডাবল করে দেওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে নামের প্রথম অংশ যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রথমবারের সেটি ব্যবহার করতে পারেন যেমন: মোঃ
এছাড়াও এখানে একটি জিনিস লক্ষ্য রাখবেন যে সকল স্থানের পর বা অপশনের পূর্বে * চিহ্নটি দেওয়া রয়েছে সে সকল ঘর বা বক্স আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এই সকল বক্সে বলা হয়ে থাকে Recommended এবং যেইগুলোতে এই চিহ্ন নাই সেগুলো হচ্ছে শুধুমাত্র optional যা পূরণ না করলেই সমস্যা হবে না।
তবে চেষ্টা করবেন সবগুলি ঘর পূরণ করার জন্য এক্ষেত্রে এর ফলাফল আপনার জন্ম সনদে পরবর্তী সময় আপনি দেখতে পারবেন। সমস্ত বক্সের সঠিকভাবে পূরণ করবেন যেন কোন প্রকার ভুল ত্রুটি না থাকে। এবং এরপর পরবর্তী চলে যাবেন।
এখন এখানে আমাদেরকে পিতা-মাতার তথ্যগুলি দিতে হবে। যদি আপনার পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম সনদ থাকে তাহলে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এখানে যে সমস্ত বক্সে Recommended রয়েছে অবশ্যই সেই বক্স গুলি সঠিকভাবে এবং ভালোভাবে দেখে পূরণ করবেন।
এখানে আমাদেরকে পিতার নাম বাংলা এবং ইংরেজি, ও মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজি দিতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের জাতীয়তা বাছাই করে নিতে হবে। যদি আপনার পিতা মাতা উভয় বাংলাদেশে থাকে তাহলে এখান থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তা বাছাই করে পরবর্তী অপশনে চলে যাবেন।
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এরপর এখান থেকে আমাদেরকে যাচাই করতে হবে যে জন্ম সনদটি কে আবেদন করতেছে। বেশ কয়েকটি অপশন রয়েছে যদি আপনি এই অপশনগুলি ব্যবহার করতে না পারেন এক্ষেত্রে অভিভাবক নামের অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে আপনাকে জন্ম সনদ বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার এবং নাম দিতে হবে।
এবং নিচে থেকে আমাদেরকে দুটি ডকুমেন্ট অবশ্যই আপলোড করতে হবে বাধ্যতামূলক। প্রথম ডকুমেন্টটি হল জন্ম সময় যদি কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে হয়ে থাকে এক্ষেত্রে সেখানকার ছাড়পত্র বা ইপিআই কার্ড এর সত্যায়িত অনুলিপি।
এরপর পিতা মাতার যাচাই-করণে কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে আপনি চাইলে এখান থেকে শুধুমাত্র আপনার জমির বা বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধ রশিদ প্রদান করতে পারেন। অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রদান করার সুযোগ রয়েছে এখানে।
এরপর আপনার সামনে সমস্ত বিষয়গুলি চলে আসবে অর্থাৎ এ পর্যন্ত আপনি যত কিছু সাবমিট করেছেন সবকিছু চলে আসবে এখান থেকে পুনরায় আপনি আবার যাচাই করে নেবেন যদি কোন কিছু ভুল থাকে সেটি সমাধান করে নিবেন।
নোট: একবার জন্ম সনদ আবেদন হয়ে গেলে পরবর্তী সময় সেটি আর এডিট বা সম্পাদনা করার কোন সুযোগ নেই।
সর্বশেষ আপনি একটি মোবাইল নাম্বার দেবেন এবং সেখানে একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে সেই কোডটি দিয়ে পরবর্তী অপশনে চলে যাবেন ( আপনি ব্যবহার করেন এরকম একটি নাম্বার ব্যবহার করা এখানে উত্তম হবে )
জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের জন্ম সনদ সঠিকভাবে আবেদন হয়ে গিয়েছে এখন এখানে আমাদেরকে আরো কিছু কাজ করতে হবে। তাহলো প্রথমে আবেদন প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করে পিডিএফ আকারে আপনি ডিভাইসে সংরক্ষণ করে নিবেন এবং এটি পরবর্তী সময় ফটোকপি করে নিবেন।
আবেদনপত্র নাম্বারটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করবেন অবশ্যই চেষ্টা করবেন একটি স্ক্রিনশট রাখার জন্য। তাহলে সময় এই কাজগুলি করতে আরো সহজ হয়ে যাবে। এবং এখানে একটি নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া রয়েছে তার পূর্বে আপনি আপনার নির্বাহী কার্যালয় অফিসে যোগাযোগ করবেন।
আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা আপনার পৌরসভা অধিদপ্তরে আবেদন প্রিন্ট এর ফটোকপি এবং বাকি যে দুটি ডকুমেন্ট আমরা সাবমিট করেছিলাম, হাসপাতাল করতে কি চিকিৎসার ছাড়পত্র, বা ইপিআই কার্ড, এবং ট্যাক্স পরিশোধ রশিদ।
এই তিনটে ডকুমেন্ট আপনাকে জমা করতে হবে নির্বাহী কার্যালয়ের অফিসে। এবং তারা আপনাকে একটি ফি প্রদান করতে বলবে অবশ্যই সেটি আপনাকে প্রদান করতে হবে বাধ্যতামূলক।
সবকিছু সঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে যে নাম্বারটি আপনি ব্যবহার করেছিলেন সেখানে। পরবর্তী সময় সেটি আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যদি আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টে তার সমস্যার বর্ণনা শেয়ার করবেন। আমরা যতদ্রুত সম্ভব আপনার সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।
সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জানার জন্য এবং তা প্রয়োগ করার জন্য ধন্যবাদ।