মোটরসাইকেল এফিডেভিট করার নিয়ম

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই মোটরসাইকেল এফিডেভিট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে মোটরসাইকেল এফিডেভিট করার নিয়ম সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

আজকের বিষয় সমুহ।

মোটরসাইকেল এফিডেভিট করার নিয়ম

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • ফরম টিও: https://www.bikebd.com/
  • ফরম টিটিও: https://www.bikebd.com/
  • বিক্রয় রসিদ: এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে বিক্রেতা ও ক্রেতার নাম, ঠিকানা, মোটরসাইকেলের মডেল, নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর এবং বিক্রয়ের মূল্য।
  • মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি): নতুন রেজিস্ট্রেশন সনদ তৈরির জন্য একটি জমা রাখা হবে।
  • ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশগণের হলফনামা: একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক স্ট্যাম্পে আরও একটি হলফনামা দিতে হবে।
  • ক্রেতার নমুনা স্বাক্ষর: সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর ফরমে স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও ৩ কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ফটোসহ ফরমের অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান।
  • বিক্রেতার ছবিসহ বিক্রয় হলফনামা: এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে বিক্রেতার নাম, ঠিকানা, মোটরসাইকেলের মডেল, নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর, বিক্রয়ের মূল্য এবং কেন বিক্রি করা হচ্ছে তার কারণ।
  • অন্যান্য: প্রয়োজনে আরও কাগজপত্র প্রদান করতে হতে পারে।

প্রক্রিয়া:

  1. উপরে তালিকাভুক্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
  2. ফরম টিও ও টিটিও পূরণ করুন।
  3. বিক্রয় রসিদ, মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ, ওয়ারিশগণের হলফনামা (যদি প্রযোজ্য হয়), ক্রেতার নমুনা স্বাক্ষর এবং বিক্রেতার বিক্রয় হলফনামা সহ কাগজপত্র যাচাই করার জন্য একজন কর্মকর্তার কাছে যান।
  4. নির্ধারিত ফি প্রদান করুন।
  5. একটি নতুন রেজিস্ট্রেশন সনদ এবং মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট পাবেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • সभी কাগজপত্র সঠিক ও সত্য তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
  • কাগজপত্রে কোন ত্রুটি থাকলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
  • প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছু সময় লাগতে পারে।
  • আপনি যদি নিজে এফিডেভিট করতে না পারেন তবে একজন আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন।

ফি:

  • মোটরসাইকেলের সিসি অনুযায়ী ফি নির্ধারিত হয়।

বাইকের নাম ট্রান্সফার করতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশে বাইকের নাম ট্রান্সফার করতে ২৯৬৪ টাকা লাগে।

এই খরচের মধ্যে রয়েছে:

  • মালিকানা: ১৬৬৮ টাকা
  • ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট: ৫৫৫ টাকা
  • ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ডুপ্লিকেট: ৩৪৫ টাকা
  • সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি: ৩৯৬ টাকা

এছাড়াও, আপনাকে নিম্নলিখিত খরচগুলিও বহন করতে হবে:

  • ফটোকপি: ৫০-১০০ টাকা
  • স্ট্যাম্প: ৫০-১০০ টাকা
  • পরিবহন: ৫০-১০০ টাকা

মোট খরচ: ৩১৬৪-৩২৬৪ টাকা (আনুমানিক)

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • আপনি যদি নিজে নাম ট্রান্সফার করতে চান তবে আপনাকে BRTA অফিসে যেতে হবে।
  • আপনি যদি একজন এজেন্টের মাধ্যমে নাম ট্রান্সফার করতে চান তবে তাদের অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
  • নাম ট্রান্সফার করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে:
    • বিক্রয়কারীর মূল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
    • ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্র
    • বিক্রয়কারীর জাতীয় পরিচয়পত্র
    • বিক্রয় রসিদ
    • মোটরসাইকেলের ফিটনেস সার্টিফিকেট
    • মোটরসাইকেলের বীমা সার্টিফিকেট

আপনি যদি নাম ট্রান্সফার করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানতে চান তবে আপনি BRTA ওয়েবসাইট https://brta.gov.bd/site/page/511a7af4-20c8-4450-b4a6-5f92dde1b23f/- দেখতে পারেন অথবা BRTA অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

Visited 4 times, 1 visit(s) today

Leave a Comment

x