হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল বিমান। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে।
বিমান:
- বিভিন্ন এয়ারলাইন্সঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
- ফ্লাইটের সময়কাল প্রায় 11 থেকে 12 ঘন্টা।
- টিকিটের দাম মৌসুম, এয়ারলাইন্স ও টিকিটের ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
অন্যান্য উপায়:
- আপনি ট্রানজিট ফ্লাইটও নিতে পারেন। এক্ষেত্রে, আপনাকে দুবাই, আবুধাবি, দোহা বা ইস্তাম্বুলের মতো অন্য কোনো শহরে ট্রানজিট করতে হবে।
- ট্রেন বা জাহাজে করে লন্ডন যাওয়াও সম্ভব, তবে এটি অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ এবং জটিল।
লন্ডন ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- বৈধ পাসপোর্ট: আপনার ভ্রমণের শেষ তারিখের পর অন্তত ছয় মাস বৈধ থাকতে হবে।
- যুক্তরাজ্যের ভিসা: আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুসারে আপনাকে একটি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
- বিমান টিকিট
- ভ্রমণ বীমা
- পর্যাপ্ত অর্থ আপনার ভ্রমণের খরচ বহন করার জন্য।
কিছু টিপস:
- আপনার ভ্রমণের আগে টিকিট বুক করুন, বিশেষ করে যদি আপনি পিক মৌসুমে ভ্রমণ করেন।
- বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্টের থেকে দাম তুলনা করুন।
- আপনার ভিসার জন্য যথাসময়ে আবেদন করুন।
- ভ্রমণ বীমা কিনুন যাতে আপনি কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য আচ্ছাদিত থাকেন।
- লন্ডনের আবহাওয়া সম্পর্কে জেনে নিন এবং উপযুক্ত পোশাক প্যাক করুন।
- কিছু মৌলিক ইংরেজি শব্দ ও বাক্যাংশ শিখুন।
লন্ডন যেতে কত টাকা খরচ হয়?
লন্ডনে ভ্রমণের খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন:
- ভ্রমণের সময়: পিক মৌসুমে (যেমন, জুলাই ও আগস্ট) টিকিট ও হোটেলের দাম বেশি থাকে।
- ভ্রমণের ধরণ: বাজেট ভ্রমণ বিলাসবহুল ভ্রমণের চেয়ে অনেক কম খরচে সম্ভব।
- আপনার ভ্রমণের পছন্দ: আপনি যদি **ভালো হোটেলে থাকতে চান, ভালো খাবার খেতে চান এবং অনেক আকর্ষণীয় স্থান পরিদর্শন করতে চান, তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে।
তবে, একজন সাধারণ পর্যটকের জন্য লন্ডনে ৭ দিনের ভ্রমণের আনুমানিক খরচ নিচে দেওয়া হল:
- বিমান টিকিট: 40,000 – 80,000 টাকা (রিটার্ন)
- ভিসা: 6,000 টাকা
- থাকা: 2,000 – 5,000 টাকা (প্রতি রাত)
- খাবার: 1,000 – 2,000 টাকা (প্রতিদিন)
- পরিবহন: 500 – 1,000 টাকা (প্রতিদিন)
- আকর্ষণীয় স্থান: 1,000 – 2,000 টাকা (প্রতিদিন)
- অন্যান্য: 5,000 – 10,000 টাকা (শপিং, বিনোদন ইত্যাদি)
মোট: 60,000 – 1,60,000 টাকা
কিছু টিপস যা আপনাকে লন্ডনে ভ্রমণের খরচ কমাতে সাহায্য করবে:
- অফ-পিক মৌসুমে ভ্রমণ করুন।
- হোস্টেল বা এয়ারবিএনবি-তে থাকুন।
- সস্তা খাবার খান।
- পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন।
- ফ্রি আকর্ষণীয় স্থান পরিদর্শন করুন।
- লন্ডন পাস কিনুন।
লন্ডন ভিসার দাম কত?
লন্ডন ভিসার দাম নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর।
বেশিরভাগ সাধারণ ভিসার জন্য, ফি £133। তবে, কিছু ভিসার জন্য ফি বেশি হতে পারে, যেমন:
- প্রিমিয়াম প্রসেসিং: £575
- ট্রানজিট ভিসা: £30
- চিকিৎসা ভিসা: £150
- জীবনসঙ্গী ভিসা: £625
আপনার ভিসার আবেদনের সাথে আপনাকে অতিরিক্ত ফি দিতে হতে পারে, যেমন:
- বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ফি
- কুরিয়ার সেবা জন্য ফি
আপনার ভিসার ধরণ নির্ধারণ করতে এবং সর্বশেষ ফি জানতে, আপনি ব্রিটিশ হাই কমিশনের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/gbr
এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হল:
- ভিসার প্রক্রিয়াকরণে সাধারণত 2-3 সপ্তাহ সময় লাগে।
- আপনার ভিসা অনুমোদিত হবে কিনা তা নিশ্চিত না থাকলে আপনার আবেদন করবেন না।
- আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখুন।
- আপনার আবেদন সম্পূর্ণ এবং ত্রুটিমুক্ত তা নিশ্চিত করুন।
লন্ডন ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
লন্ডন ভ্রমণের জন্য আপনাকে একটি বৈধ ভিসার প্রয়োজন হবে। ভিসার ধরণ নির্ভর করবে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য (যেমন, কাজ, ছুটি, পড়াশোনা) এর উপর।
সাধারণ পর্যটক ভিসার জন্য আবেদন করার পদক্ষেপগুলি নীচে দেওয়া হল:
১) আবেদন:
- ব্রিটিশ হাই কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে (https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/gbr) অনলাইনে আবেদন করুন।
- আপনার পাসপোর্ট, আকার ফটো, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
- আবেদন ফি প্রদান করুন।
২) বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান:
- আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকরণের পর, আপনাকে একটি ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (VAC) যেতে হবে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ এবং ছবি) প্রদান করার জন্য।
৩) সাক্ষাৎকার (প্রয়োজনে):
- কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে ভিসা অফিসারের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হতে পারে।
৪) ভিসা সংগ্রহ:
- আপনার ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনি VAC থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:
- আপনার আবেদন সম্পূর্ণ এবং ত্রুটিমুক্ত তা নিশ্চিত করুন।
- সঠিক এবং আপ-টু-ডেট তথ্য প্রদান করুন।
- প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সাথে রাখুন।
- আবেদন প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে, তাই আপনার ভ্রমণের আগে পর্যাপ্ত সময় রাখুন।
- আপনার ভিসা অনুমোদিত হবে কিনা তা নিশ্চিত না থাকলে আপনার ভ্রমণের টিকিট বা হোটেলের রিজার্ভেশন করবেন না।
আরও তথ্যের জন্য:
- ব্রিটিশ হাই কমিশনের ওয়েবসাইট: https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/gbr
- ব্রিটিশ হাই কমিশনের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/ukinbangladesh/(
লন্ডন ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ কত?
লন্ডন ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করার খরচ £133।
কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যেমন:
- বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ফি: £60
- কুরিয়ার সার্ভিসের জন্য ফি: £30 (ঐচ্ছিক)
- প্রিমিয়াম প্রসেসিংয়ের জন্য ফি: £575 (আপনার আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়া করার জন্য)
মোট খরচ আপনার আবেদনের সময় এবং আপনি কোন সেবাগুলি ব্যবহার করতে চান তার উপর নির্ভর করবে।
আপনার ভিসার আবেদনের সাথে সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য এবং ফি জানতে, আপনি ব্রিটিশ হাই কমিশনের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/gbr
এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হল:
- ভিসার প্রক্রিয়াকরণে সাধারণত 2-3 সপ্তাহ সময় লাগে।
- আপনার ভিসা অনুমোদিত হবে কিনা তা নিশ্চিত না থাকলে আপনার আবেদন করবেন না।
- আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখুন।
- আপনার আবেদন সম্পূর্ণ এবং ত্রুটিমুক্ত তা নিশ্চিত করুন।
বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যেতে কত সময় লাগে
ঢাকা থেকে লন্ডনে সরাসরি ফ্লাইটে যেতে প্রায় 11 থেকে 12 ঘন্টা সময় লাগে।
তবে, ট্রানজিট ফ্লাইটে ভ্রমণ করলে সময় অনেক বেশি লাগতে পারে। ট্রানজিটের সময়কাল নির্ভর করে আপনি কোন শহরে ট্রানজিট করছেন তার উপর।
উদাহরণস্বরূপ, দুবাই বা আবুধাবিতে ট্রানজিট করলে মোট ভ্রমণ সময় 15 থেকে 17 ঘন্টা হতে পারে। ইস্তাম্বুলে ট্রানজিট করলে মোট ভ্রমণ সময় 18 থেকে 20 ঘন্টা হতে পারে।
আপনার ভ্রমণের সময়কাল বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন:
- বিমান সংস্থা: বিভিন্ন বিমান সংস্থার বিভিন্ন রুট এবং ফ্লাইট সময়সূচী থাকে।
- আবহাওয়া: খারাপ আবহাওয়া ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিলের কারণ হতে পারে।
- যানজট: বিমানবন্দরে যানজট ফ্লাইট বিলম্বের কারণ হতে পারে।
আপনার ভ্রমণের সময়কাল সম্পর্কে সবচেয়ে সঠিক তথ্যের জন্য, আপনার বিমান সংস্থার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
লন্ডনে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
লন্ডনে নাগরিকত্ব পাওয়ার বেশ কিছু উপায় আছে। আপনার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে উপযুক্ত তা নির্ভর করবে আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং যোগ্যতার উপর।
প্রধান পদ্ধতিগুলো হল:
১) জন্মের মাধ্যমে:
- আপনি যদি যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন এবং আপনার at least one British parent থাকে, তাহলে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ নাগরিক হন।
২) বসবাসের মাধ্যমে:
- আপনি যদি যুক্তরাজ্যে 5 বছর ধরে বৈধভাবে বসবাস করে থাকেন (সাধারণত “সেটলড” স্ট্যাটাস সহ), তাহলে আপনি ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- কিছু ক্ষেত্রে, আপনি কম সময় (যেমন, 3 বছর) পরে আবেদন করতে পারবেন, যেমন:
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ নাগরিকের সাথে বিবাহিত হন
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত থাকেন
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ নাগরিকের সন্তান হন
৩) ব্রিটিশ সঙ্গীর সাথে বিবাহের মাধ্যমে:
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ নাগরিকের সাথে বিবাহিত হন এবং 3 বছর ধরে তাদের সাথে বসবাস করে থাকেন (যুক্তরাজ্যে বা অন্য কোথাও), তাহলে আপনি ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪) অন্যান্য উপায়ে:
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হন (যেমন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড)
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ সুরক্ষিত ব্যক্তি হন
- আপনি যদি একজন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হন
প্রয়োজনীয়তা:
- আপনাকে অবশ্যই 18 বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই ভালো চরিত্রের হতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের আইন মেনে চলার শপথ নিতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
- আপনাকে একটি ফি প্রদান করতে হবে।
- আপনাকে একটি সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আরও তথ্যের জন্য:
- ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইট: https://www.gov.uk/browse/citizenship/citizenship
- ব্রিটিশ হাই কমিশনের ওয়েবসাইট: https://www.gov.uk/world/organisations/british-high-commission-dhaka
মনে রাখবেন:
- নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
- আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
পরিশেষে
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায় এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ কোন দেশে টাকার মান বেশি